খবরের সময় ডেস্ক
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকার ভাড়াটিয়া অধিবাসী এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ধলাদিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষক কম খরচে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিবে বলিয়া ভিকটিমের পরিবারকে ফুসলিয়া ভিকটিমকে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা হতে শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকায় নিয়ে যায়। উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ভিকটিমকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ধলাদিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি না করে উক্ত এলাকার একটি গোপন কক্ষে ভিকটিমকে বন্দি রেখে দিনের পর দিন ভিকটিম ও তার পিতার জীবন নাশের হুমকি দিয়ে তার ই”ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের পিতা ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক এর মোবাইল ফোনে কল করিয়া তাহার মেয়ের খোঁজখবর জানতে চাইলে উক্ত শিক্ষক তার মেয়ে ভাল আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত আছে বলে ভিকটিমের পিতাকে জানাতো। এভাবে প্রায় ০৩ মাস অতিবাহিত হলে ভিকটিমের পিতার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং সে তার মেয়েকে দেখার জন্য ধলাদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় যায় এবং খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে যে, উক্ত মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি না করিয়ে ঐ শিক্ষক তাহার মেয়েকে ধলাদিয়া এলাকার একটি গোপন কক্ষে বন্দি করে রেখে তার জীবন নাশের হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের পিতা তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য নিরুপায় হয়ে র্যাব-১, গাজীপুর কার্যালয়ে এসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে আইনগত সাহায্য কামনা করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে সোর্স নিয়োগসহ র্যাবের সকল ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
র্যাব-১, স্পেশালাইজড্ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুরের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণের মূলহোতা আসাদুজ্জামান(৩৫) গাজীপুরের সালনা এলাকায় অব¯’ান করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অত্র কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ জিএমপি, গাজীপুর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ধর্ষণকারী মূলহোতা আসামী ১। মোঃ আসাদুজ্জামান(৩৫), পিতা-মোঃ মোবারক আলী, মাতা-শরিফা আক্তার, সাং-উত্তর বেতকাশি, থানা-কসবা, জেলা-খুলনা, এ/পি-সাং-ধলাদিয়া(জনৈক রাজ্জাক মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর’কে গ্রেফতার করা হয় এবং ধৃত আসামীর দেয়া তথ্যমতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ধলাদিয়া এলাকার একটি গোপন তালাবদ্ধ রুম হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামীর ভাষ্যমতে, ধৃত আসামী পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তার বিবাহিত জীবনে স্ত্রী ও ০২টি ছেলে সন্তান রয়েছে। সে গত ০২/০৮/২০২০ তারিখ গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকার ভাড়াটিয়া অধিবাসী এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ধলাদিয়া মাদ্রাসায় কম খরচে পড়াশুনা এবং মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিবে বলিয়া ভিকটিমের পরিবারকে ফুশলাইয়া ভিকটিমকে দক্ষিণ সালনা হতে শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকায় নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ভিকটিমকে মাদ্রাসায় ভর্তি না করিয়ে ধলাদিয়া এলাকায় তার ভাড়াটিয়া বাসায় একটি গোপন কক্ষে বন্দি করে রেখে ভিকটিমকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে তাহার ই”ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে আসিতেছিল বলে ধৃত আসামী র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে এবং নিজ মুখে তার বর্ণনা দেয়।
এই বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, তারিখ ১৬/১০/২০২০ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)।